কক্সবাজার প্রতিনিধি
গাড়ি থেকে নামতেই পর্যটকদের লাগেজ ধরে টানাটানি, তারপর গোপন কমিশনে অতিরিক্ত মূল্যে হোটেল রুম। প্রতিদিনই কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার কলাতলীর মোড়ে ঘটছে এমন ঘটনা। রয়েছে ৮ থেকে ১০ দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য, যারা প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে পর্যটকদের।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) ভোরে মাত্র ২ ঘণ্টার অভিযানে আটক হয়েছে ৪ দালালচক্রের ১৯ সদস্য, জব্দ করা হয়েছে ১৪টি যানবাহন।
সৈকত শহর কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার কলাতলীর ডলফিন মোড়। এর একটু সামনেই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। আর রাস্তার দু’পাশে রয়েছে অসংখ্য হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। এ প্রবেশদ্বারেই সকাল হতেই রাস্তার দু’পাশে ভিড় করছে সারি সারি দূরপাল্লার পরিবহন। আর এ পরিবহনগুলোকে ঘিরে ধরেছে ইজিবাইক, অটোরিকশাচালকরা। পর্যটকরা গাড়ি থেকে নামতেই তাদের লাগেজ ধরে টানাটানি করছেন তারা। আরেক পক্ষ ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে আছেন পর্যটকদের নিয়ে গোপন কমিশনের হোটেল রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এতে চরম বিরক্ত হচ্ছেন পর্যটকরা।
সোহাগ পরিবহন থেকে নামা পর্যটক ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, গাড়ি থেকে নামতেই এমনভাবে ইজিবাইক ও অটোরিকশাচালকরা ঘিরে ধরে, এতে তাদের গাড়িতে উঠতে একপ্রকার বাধ্য হয় পর্যটকরা। এ ছাড়া তাদের কাছে হয়রানির শিকার হতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ম্যানেজার বলেন, কলাতলী থেকে শুরু সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মোড় পর্যন্ত কয়েকটি দালালচক্র রয়েছে। যারা এই টানা ছুটিকে কাজে লাগিয়ে অসাধু উপায়ে হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ও কটেজগুলোর সঙ্গে এই দালালচক্র জড়িত রয়েছে। তারাই পর্যটকদের হয়রানির পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
এ বিষয়ে টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের হোটেল-মোটেল, সৈকত, পর্যটন স্পটে হয়রানি বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ৮ থেকে ১০ দালালচক্রের শতাধিক সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের আটকের অভিযান অব্যাহত থাকবে।