নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেসিক ব্যাংক থেকে আত্মসাৎকৃত কোটি কোটি টাকার খোঁজে মাঠে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার এখনো পাইনি কমিশন।
দুদক বলছে, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলার চার্জশিট দিবে কমিশন।বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই প্রতিবেদন মঙ্গলবার দাখিল করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি) বাংলাদেশ বিষয়ে ইতিপূর্বেকার তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ ধরনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফলো দ্যা মানি (টাকার গতিপথ শনাক্তকরণ)-এর বিষয়ে বিশেষ তাগিদ দিয়েছে। এপিজির উক্ত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বেসিক ব্যাংকের মামলায় আত্মসাত্কৃত টাকার গন্তব্য পথ নির্ণয়ের চেষ্টা করা
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রায় ২ হাজার ৭৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা যা সুদসহ ২ হাজার ৫৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান করে এসব মামলা দায়ের করে। গত ছয় বছর ধরে মামলার তদন্ত চলছে। এখনো শেষ হয়নি মামলার তদন্ত। পল্টন থানায় সাতটি মামলায় আসামি করা হয় বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ আলীসহ ৩১ জনকে। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, শান্তিনগর শাখার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনকালে এই ব্যাংক হতে বিভিন্নভাবে ৩৬২ কোটি ৭০ লাখ ৮১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। এসব মামলায় ২০১৯ সালের ৯ জুন মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে দুদক।