নিজস্ব প্রতিবেদক
শীতে শিশুদের খাবারে সতর্ক হতে হবে। এমন খাবার দেওয়া যাবে না যা দিলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে হয়। যে সব হতে পারে গলা ব্যথা, জ্বর, নিউমোনিয়া, পেটে ব্যথা, কানে ব্যথা, অ্যাজমাসহ নানা রোগ।
ফ্রোজেন মাংস: শিশুরা সবজি খেতে চায় না। তাদের পছন্দের খাবার তালিকায় মাংস। বাজারে ফ্রেজের মাংস পাওয়া যায়। এতে শরীরের মিউকাস উৎপাদন বাড়িয়ে গলায় ইনফেকশনের সম্ভাবনা ডেকে আনে। তাই মাছ বা ফ্রেশ মাংস শিশুকে খাওয়াতে হবে।
দুগ্ধজাত খাবার: চিনি আর ক্রিম এই দুই দুগ্ধজাত ঠিকই, কিন্তু কোন ও একটা মাত্রায় গিয়ে অপুষ্টিকরও। শরীরের লালা এবং মিউকাসের ঘনত্ব বাড়িয়ে দিয়ে শিশুদের খাবার গলাধঃকরণের প্রক্রিয়াটিকে দুরূহ করে তোলে। তাই এই দুইয়ের মাত্রা শিশুর শীতকালীন খাবারের তালিকায় কম রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মেয়োনিজ: বেশিরভাগ ফাস্টফুডে এখন মেয়োনিজ দেওয়া হয়। এতে থাকে হিস্টামিন। এই হিস্টামিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেলেও শরীরে মিউকাসের পরিমাণ বাড়ে এবং থ্রোট ইনফেকশন এর সম্ভাবনা দেখা দেয়।
বাইরের খাবার: বাইরের আমিষ ভাজাভুজির ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডও শরীরের লালা আর মিউকাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছে হলে বাড়িতে সাদা তেলে ভাজা কিছু মাঝেমধ্যে খাওয়ানো যায় শিশুকে।
চকলেট: চকলেটে কোন দোষ নেই। কিন্তু লজেন্স কখনই নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা কমিয়ে ইমিউনিটি সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। পাশাপাশি কোলড্রিংস আর হাই রিফাইন্ড ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালও না দেওয়াই উচিত হবে।
টাইমস রিপোর্ট/নীল/খান/